শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:
আজ ৯ই ডিসেম্বর, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা মুক্ত দিবস। বৃহত্তর পাবনা, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার সবকটি থানার মধ্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৬ই ডিসেম্বরের পুর্বে ৯ ডিসেম্বর সাঁথিয়া থানাকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বাড়ি এ অঞ্চলে হওয়ায় রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর শক্ত ঘাটি এখানে গড়ে ওঠে। ফলে সাঁথিয়ায় পাক সেনারা রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সহায়তায় ব্যাপক হত্যাকান্ড ও ধবংসযজ্ঞ পরিচালনা করে।
পাক সেনারা ১৯ এপ্রিল ডাববাগান (পরে শহীদ নগর), ১৪মে ধুলাউড়ির বাউশাগাড়ি গ্রাম, ২৭ নভেম্বর ধুলাউড়ী ফকিরবাড়িতে ব্যাপক হত্যা ও ধবংসযজ্ঞ পরিচালনা করে। ঐতিহাসিক ডাবগানের সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন ইপিআর হাবিলদার মমতাজ আলী, হাবিলদার আঃ রাজ্জাক, নায়েক হাবিবুর রহমান, সিপাহী এমদাদুল হক, সিপাহী ইমান আলী, সিপাহী রমজান আলীসহ আরো অনেকে। পাকসেনারা ধুলাউড়ি বাউশাগাড়ি গ্রামে গণহত্যা চালিয়ে প্রায় ৮০০ মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীকে হত্যা করে ।
ডিসেম্বরের ৭তারিখে মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়ায় প্রবেশের ৩টি ব্রিজ ও কালভার্ট বোমা মেড়ে উড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধারা ব্রিজের নিচে বাংকার তৈরী করে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে চরম প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলে।
পরদিন ৯ডিসেম্বর সকালে সাঁথিয়া ঢোকার পথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাক সেনারা টিকতে না পেরে বিকেলের দিকে পিছু হঠে পাবনার দিকে পালিয়ে যায়।
৯ তারিখে মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া থানা তাদের দখলে নেয়। ওই দিনই জাতীয় সংগীতের সাথে আনুষ্ঠনিকভাবে সাঁথিয়া থানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। আর এ জন্যই সাঁথিয়াবাসী গর্বকরে ৯ডিসেম্বর সাঁথিয়া মুক্ত দিবস পালন করে থাকে।